8801921478752 sultanpurmadrasa@gmail.com

ব্রেকিং নিউজ


আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শভিত্তিক, দারুল উলূম দেওবন্দের সিলসিলাভুক্ত একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

১. আহকামে এলাহী ও সুন্নাতে নববী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তা’লীম-তারবিয়াতের মাধ্যমে একটি নিষ্টাবান প্রশিক্ষিত জামাত গঠন করে সমৃদ্ধ সুখময় দেশ-জাতি বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করা।

২. বিশেষত: মাতৃজাতির মাঝে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পরিবারকেন্দ্রিক দ্বীনী মূল্যবোধ ও ইসলামী গণজোয়ার সৃষ্টি করা।

৩. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা-বিশ্বাস, ফিকহে হানাফীর সংরক্ষণ এবং দেওবন্দী সিলসিলায় তা’লীম-তরবিয়ত বাস্তবায়ন করা।

৪. ইসলামবিদ্বেষী খোদাদ্রোহীদের নিয়মানুযায়ি মোকাবেলা করে নাস্তিকতা, শিরক-বিদআতের মূলৎপাঠনের মাধমে সমাজে সর্বস্তরে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা করা।

৫. ওয়াজ-নসীহত, দাওয়াত ও তা’লীমের মাধ্যমে জনসাধারণের ইসলাহ পূর্বক ইসলামী পূর্ণজাগরণ সৃষ্টি করা।

তাহরিকে এ’লায়ে কালিমাতুল্লাহ

... sans-serif, 'Apple Color Emoji', 'Segoe UI Emoji', 'Segoe UI Symbol', 'Noto Color Emoji'; font-size: 22px; text-align: justify;"> 

কর্মসূচী

“তোমরা একে অপরকে পূণ্য ও তাকওয়ার কাজে সাহায্য করো। এবং পাপ ও সীমা লঙ্ঘনে পরস্পরে সহযোগিতা করো না।” আল-কুরআন

১. তাফসীর ও ওয়াজ নসীহতের মাধ্যমে বয়স্কদের মধ্যে ইসলামী জাগরণ সৃষ্টি করা। আল্লাহর রহমতে এই কাজ জোরদারভাবে চলছে। পুরুষ ও মহিলা মহলে পৃথকভাবে মসজিদে মসজিদে ও বাড়িতে বাড়িতে সারা বৎসর অনেকগুলো কেন্দ্রে মাহফিল আকারে এই কাজ সুন্দর ভাবে চলছে এবং এর দ্বারা এলাকায় ও আতরাফে অভূতপূর্ব জাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার দরুণ পরিবেশের মধ্যে অভাবনীয় পরিবর্তন সাদিত হচ্ছে। (আল্লাহ কবুল করুন!)

২. একটি মহিলা মাদরাসা (শিশু শ্রেণী হতে টাইটেল পর্যন্ত) আল-জামেয়াতুত্ত্বায়্যিবাহ সুলতান পুর মহিলা মাদরাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান সুদক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি বৎসর শত শত মহিলা এই মাদরাসায় অধ্যয়ন করে আলিমা ছনদ প্রাপ্ত হচ্ছে। যাদের প্রচলিত ভাষায় মহিলা “মাওলানা” বলা হয়। ফারেগাতরা বিভিন্ন মাদরাসায় দক্ষতার সাথে শিক্ষকতা করছে। এমনকি লন্ডন, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও এ মাদরসার পড়ুয়া মেয়েরা বিভিন্নভাবে দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছে।               (আল্লাহ কবুল করুন।) 

৩. একটি ছেলেদের মাদরাসা (শিশু শ্রেণী হতে টাইটেল পর্যন্ত) এলাকায় সমাহিত মহপুরুষ হযরত শাহ সুলতান রহ. এর নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বোর্ডের অনুমোদিত সিলেবাসে পড়ানো হলেও অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে বাংলা, ইংরেজী ও অংক মেট্রিক পর্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে পড়ানো হয়।                                                              ছেলে মেয়েরা যাতে আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠতে পারে এ জন্য ছেলেদেরকে বিদ্যা শিক্ষার পাশাপাশি হস্তশিল্প যেমন, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক, হাউস ওয়ারিং, পাইপ ফিটিং, ইলেকট্রিক ওয়েলড্রিং, নার্সারী, বাগানের কাজ এবং মেয়েদের সেলাইয়ের কাজ, এমব্রয়ডারির কাজ, আর্ট, হাস-মুরগী লালন-পালন, রান্না-বান্না ইত্যাদির কাজ শিক্ষা দেওয়া হয়। 

৪. গ্রামে গ্রামে শিশু মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে মুসলমান শিশুদেরকে ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে আশু বংশধরদিগকে মুসলমানির উপর টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা। যেহেতু বিধর্মীরা মুসলিম শিশুদেরকে মিশনারী ও নানা ধরনের সংস্থার মাধ্যমে ধর্মবিমুখ তথা ধর্মচ্যুত করার লক্ষ্যে উঠে পড়ে লেগেছে, সে ষড়যন্ত্রের জাল থেকে মুসলমান প্রজন্মকে রক্ষা করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আল্লাহর রহমতে ১৫ টি মাদরাসা ৪/৫ বৎসরের কোর্সে “তাহফিজুস সিবইয়ান” নামে চালু ছিল। এবং খুব শীঘ্রই আরও ব্যাপকভাবে এ কার্যক্রম চালু করার প্রয়াস চলছে। 

৫. একটি হাফিজি মাদরাসা: মুসলিম শিশুদের বুকের ভিতরে আল্লাহ পাকের কালাম সংরক্ষণের ব্যবস্থা। আল্লাহর রহমতে বিশেষ পদ্ধতিতে পাঠদানের কারণে শিক্ষার্থীরা অল্প দিনের মধ্যে পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্ত করতে পারে। আল্লাহ পাকের মেহেরবাণীতে প্রতি বৎসর কয়েকজন ছেলেরা হাফিজে কুরআনের উপাধীতে ভূষিত হচ্ছে। 

৬. একটি ক্বিরাত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: ছহীহভাবে কুরআন পড়ানোর ব্যবস্থা হিসাবে সারা বৎসর বিশেষত রমযান মাসে সর্বস্তরের জনগণকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই কেন্দ্র সুনাম অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত শত শত মহিলা ক্বারী ছনদ প্রাপ্ত হয়ে দক্ষতার সাথে জায়গায় জায়গায় ক্বেরাত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

আত্মসচেতন সকল মুসলমান ভাই-বোনদের প্রতি আমাদের আবেদন: আপনারাও নিজ নিজ এলাকায় এই পরিকল্পনা চালু করে উম্মতের দায়িত্ব পালন করুন এবং আপনার এলাকায় ইসলামী পরিবেশ কায়েম করুন। যদি আপনি উপযুক্ত কর্মীদের অভাবে আপনার এলাকায় এই প্রকল্প চালু করতে অক্ষম হন তবে ১. আপনার এলাকা থেকে ছেলেমেয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে এ কাজের উপযুক্ত কর্মী গঠন করতে পারেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে জজবাওয়ালা কর্মী তৈরী হচ্ছে। (বহিরাগত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হোষ্টেলের ব্যবস্থা আছে) ২. আপনার হালাল উপার্জন থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের নিম্নোক্ত ফান্ডসমূহে দান করে আপনি এই মহতি কাজে শরীক হতে পারেন। 

প্রতিষ্ঠানের ফান্ডসমুহ: (ক) সাধরণ ফান্ড: এই ফান্ডের টাকা প্রতিষ্ঠানের যে কোন প্রয়োজনীয় খাতে খরচ করা হয়। (খ) দালান ফান্ড: আমাদের এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমির উপর ৩৫০ ফুট লম্বা ১ টি ৩ তলা বিল্ডিং, দেড়শত ফুট লম্বা আরও ১টি ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এবং আরও একটি টিন শেট ১০০ ফুট লম্বা ভবন রয়েছে। বিল্ডিংয়ের নীচতলায় রয়েছে ছাত্রদের ক্লাসরুম ও থাকা-খাওয়ার জায়গা এবং অফিস রুম। মধ্য তলায় রয়েছে মেয়েদের ক্লাসরুম এবং তৃতীয় তলায় রয়েছে মেয়েদের বাথরুম, টয়লেট, রান্নাঘর, মেয়েদের হস্তশিল্প, ট্রেনিং কক্ষ ও থাকার জায়গা। (গ) গরীব ফান্ড: বর্তমানে বিভিন্ন অমুসলিম সংস্থা/সংগঠন নানা প্রলোভন যেমন: গম, কাপড় ইত্যাদি প্রলোভন দেখিয়ে মুসলমান ছেলেমেয়েদের শিক্ষার নামে কু-শিক্ষা দিচ্ছে। তাদের মুকাবেলায় আমরা প্রতি ত্রৈমাসিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের  প্রতি মাসে বৃত্তির ব্যবস্থা নিয়েছি। যাতে গরীব অভিভাবকরা লোভের তাড়নায় দ্বীনী শিক্ষা থেকে শিশুদের বঞ্চিত না করেন। তাতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। (চ) প্রচার ফান্ড: দ্বীন প্রচার কাজে এই ফান্ডের টাকা খরচ করা হয়। ১. আপনার মল্যবান পরামর্শ দিয়ে এই মহতি কাজে শরীক হলে আমরা উপকৃত ও ধন্য হব। ২. আপনি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য দোয়া করেও এই মহতি কাজে শরীক থাকতে পারেন। 

আসুন, আমরা পরস্পর সহযোগিতার ভেতর দিয়ে গোটা বিশ্বে ইসলামী পরিবেশ ও শান্তি কায়েম করার কাজে আত্ননিয়োগ করি। আল্লাহ তাওফীক দান করুন ও কবুল করুন! আমিন॥ আল্লাহ হাফিজ!

মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী

মুহতামিম 


ভিডিও গ্যালারি

©Copyright. All Rights Reserved